খুচরো প্রেম

পথ চলতে হঠাত দেখা,
কথায় কথায় চেনা জানা,
ভালো লাগায় মাখামাখি,
পরশে, আবেশে জাল বোনা।

আবেগ মাখা গলায় তোমার
মন মজানো কথার মালা
ভিজিয়ে দিল শুকনো মরু,
জুড়িয়ে দিল দহন জ্বালা।

অন্ধকারে বন্ধ ঘরে
আটকে থাকা এক সে নারী
একটু আলোর ছোঁয়া পেয়েই
স্বপ্নপুরে জমায় পাড়ি।

এক চিলতে ভালবাসা
দিয়ে গড়া এক ভালো বাসা –
আর পাঁচটা মেয়ের মতই
প্রাণে ছিল সুপ্ত আশা।

খুচরো প্রেমের টুকরো স্মৃতি
মুছে ফেলতে কিই বা লাগে ?
নাহয় কদিন সোহাগ হলই,
তাতেই বাঁধার ইচ্ছে জাগে ?

অবহেলায় আর অপমানে
ছুঁড়ে ফেললে আস্তাকুঁড়ে।
লজ্জায় আজ মুখ ঢাকা দায়,
শুন্যতা আজ হৃদয় জুড়ে।

স্বপ্ন ছিল আসবে কভু
মনের রাজা প্রেমিক কবি,
ভালোবেসে কথা গেঁথে
লিখবে তুমি এক পৃথিবী।

কত কি লেখ ছদ্মনামে,
কদর করার লোক মেলে না।
ঠকে গেছ তুমিও জেনো,
সত্যি প্রেমের খোঁজ পেলে না।

মুক্তি

মুক্তি মানে খোলা হাওয়া,
মুক্তি মানে আলো,
মুক্তি মানে মনের কোণে
তুফান এলোমেলো ।

মুক্তি মানে পাহাড় চূড়ায়
আঁধার ভাঙ্গা উষা ।
মুক্তি মানে গভীর বনে
হারিয়ে যাওয়া দিশা ।

মুক্তি মানে নীল সায়রে
লাল হলুদ গোধুলি ।
মুক্তি মানে হাতের মুঠোয়
শুধুই নুরি বালি ।

মুক্তি মানে কথার মালা,
মুক্তি তুলির টান ।
মুক্তি মানে আদিম রিপু,
হৃদয়ে প্রেমের বাণ ।

হাতছানি দেয় ভালবাসার
বন্ধনের ওই ফাঁদ…
বাউন্ডুলে মন পাখিটা তবু
খোঁজে মুক্তির স্বাদ ।

বৃষ্টি

বৃষ্টি পরে টাপুর টুপুর,
হৃদয়ে এলো বাণ,
আঁজলা ভরে জলের ধারা,
কন্ঠ ভরে গান।

চারপাশ সব জল থৈথৈ…
ভিজছে চুল, শাড়ি…
পাগল পারা মনটারে আর
ধরে রাখতে নারি।

হঠাত ফেরায় সম্বিত
চরাচরের ডাক,
গিন্নির এই খুকিপনায়
বিশ্ব হতবাক।

কাজকম্ম শিকেয় তুলে
বৃষ্টি ভেজার সাধ?
লাল চোখ আর শক্ত চিবুক,
ভীষণ সিংহনাদ।

টাপুর টুপুর জলের ফোঁটায়
চোখের পাতা ভার,
পড়ল তালা মনের দোরে,
খুলবে নাকো আর।